বন্দরের কথা এলেই চলে আসে ক্রন্দনরত তলোয়ার আর হাস্যোজ্জ্বল শিশুর গল্প। আর হুটোপুটি হলে কাচের বয়াম তো ভাঙবেই, ছিঁড়ে যাবে বিনয়ের বোতাম। এখন ছেড়া শার্টে কোন দিকশূন্যপুরে জাহাজ ভাসাবে সারেং? মহাবৃক্ষের ছায়ার মতো ভাবো। ততক্ষণে আমি দূর থেকে চীনা গণিকাটাকে দেখে পিনিক করে নেই। জানোই তো- একটু আধটু আমিষ না হলে পৃথিবী আদতে পোকা খাওয়া একটা সুগোল কমলালেবু। যেমনি রেড-ইন্ডিয়ানরা বলে, একটা কচ্ছপের ওপর আরেকটা কচ্ছপ, তারপর আরেকটা, তার ওপর পৃথিবী... এভাবে গড়ে উঠেছে মোরগফুলের মতো রক্তরাগমিশ্রিত মহাব্রহ্মাণ্ড। যেখানে দ্যুতিবিচ্ছুরণ। কুহকের নদ। নারী। তার হুহু ময়দানে মটরদানা কি সরিষাকণার চেয়েও ক্ষুদ্র যে টিপ- সবুজ- তার মধ্যে আড়াআড়ি শুয়ে থাকে গাছের গুঁড়ি, করাতকল, মাঝারি ট্রাফিক জ্যাম, মানুষের ঝুলন্ত উদ্যান। একদিন এ সবই মিথ্যে হয়ে যাবে। সূর্য কুঁজো হলে সকাল মিথ্যে আর বিকেল মানেই ভাবুকতা। ভাবতে ভাবতে একদিন ম্যাগিলানও বলেছিল, আশলে কেউ ফেরে না শুরুর বিন্দুতে। এমনকি ধবধপে উরু, মেসবাড়ি, চীনা গণিকা, জাহাজ ভাঙার শব্দ। শুধু একটা পরিত্যক্ত ডক ফিরে ফিরে আসে। ডকের ডান পাঁজরে দশভুজার মতো মহাবৃক্ষের অধিষ্ঠান; আর বাম পাঁজরে আকুলিবিকুলি করে বাস্তুচ্যুত মন্থর তারা-কচ্ছপ... ওরা চীনা গণিকা আর বোতাম ছেঁড়া সারেংয়ের হারানো সন্তান।
Thursday, March 12, 2015
বন্দর
Subscribe to:
Post Comments (Atom)
No comments:
Post a Comment