বুকের পাঁজরে জন্ম নেয় ক্ষোভের ডুমুর! সেই ডুমুর গুড়িয়ে দেবে শত্রুপক্ষের ট্যাংক; ধারালো আগ্রাসন। বলেছিলেন, ‘স্বদেশ, তোমার রাত যেন লাইলাক ফুল, ইঙ্গিতে বাঙ্ময় হয়ে ওঠে।’ প্রেম ও প্রতিবাদের যুগলবন্দি মাহমুদ দারবিশ। যে নামে স্বাধীন দেশ নেই সেই ফিলিস্তিনের জাতীয় কবি। পাখির উদ্বাস্তু হাহাকার। সব কিছুর আগে ও পরে তিনি ছিলেন উন্নত শির, আমৃত্যু চিরবিদ্রোহী। যিনি কিনা বিদ্রোহ করেছিলেন মধ্যপ্রাচ্যের বিষফোঁড়া ইসরাইলের বিরুদ্ধে। লিখেছেন ফিলিস্তিনের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র। বিনীত কণ্ঠে দিয়েছেন দুর্বিনীতের স্লোগান।
হে অখণ্ড সুকঠিন ক্রোধ!
নিত্য করমর্দন চাল-চুলোহীনতা
ক্রোধ আমার হাত
ক্রোধ আমার মুখ
—পাঠকের প্রতি
নিত্য করমর্দন চাল-চুলোহীনতা
ক্রোধ আমার হাত
ক্রোধ আমার মুখ
—পাঠকের প্রতি
১৯৪১ সালে, আক্কা’র নিকটবর্তী ‘বারওয়া’
গ্রামে জন্ম নেয়া দারবিশ যেন নিজেই একটি ইতিহাস, ফিলিস্তিনের ইতিহাস;
ইসরায়েলি আগ্রাসনের কালো অধ্যায়ের প্রকাশ্য দলিল। সাত বছর বয়সে পৈত্রিক
গ্রামে হানা দিয়েছিল দখলদার ট্যাংক-বুলডোজার। সেই থেকে তাড়া খাওয়া হরিণের
জীবন। উদ্বাস্তু হাহাকার, স্বজনদের রক্তাক্ত লাশ বয়ে বেড়ানোর অসহায়
অর্তনাদ। তাই যখন তিনি লেখেন আত্মজীবনী, কবিতা অথবা অন্যকিছু তা
অবধারিতভাবে হয়ে ওঠে একটি ভাগ্যাহত জাতির কণ্ঠস্বর— ‘মার্চ মাসে, ত্রিশ বছর
পূর্বে— পাঁচ পাঁচটি যুদ্ধের আগে/ উজ্জ্বল কবরের রাশি রাশি ঘাসের ওপর আমার
জন্ম/ আমার পিতা তখন ইংরেজের হাতে বন্দি/ মা পোষেন তার শীতার্ত সময়/ ঘাসের
ওপর আমার বেড়ে ওঠা।’
মাও সে তুঙ বলেছিলেন, একটি রাজনৈতিক
আন্দোলনের সাথে আরেকটি আন্দোলন জরুরি—সেটি হলো সাংস্কৃতিক আন্দোলন যা কিনা
মূল আন্দোলনকে প্রেরণা দেবে, দেবে বুদ্ধিবৃত্তিক ভিত্তি। ফিলিস্তিনের
সংগ্রামী জনতার হয়ে সেই কাজটিই করেছিলেন দারবিশ। কবিতা লেখার দায়ে প্রথমবার
গ্রেফতার হন ১৯৬১-তে। তারপর হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘পৌরুষের গান’
শিরোনামের কবিতা পাঠ করার দায়ে ইসরাইলি জায়ানবাদী সরকার আবারো তাকে
গ্রেফতার করে। সেটা অবশ্য ৩য় দফা, তার আগে গ্রেফতার হয়েছিলেন আরো একবার।
এরপর ১৯৬৭-তে তার বিরুদ্ধে সরাসরি ‘ইসরাইল বিরোধী তৎপরতা’য় জড়িত থাকার
অভিযোগ আনা হয়। এবারও যথারীতি কারাবাস। এরকম পাঁচ/ছয় বার জেল-জুলুম সহ্য
করে শেষ পর্যন্ত বাধ্য হয়ে দেশ ত্যাগ করেন দারবিশ। প্রথমে পাড়ি জমান মস্কো।
সেখান থেকে কায়রো। তারপর দীর্ঘ ২ যুগেরও বেশি সময় ধরে যাযাবরের মতো
নির্বাসিত জীবন কাটিয়েছেন আরবসহ পশ্চিমা বিশ্বের অনেক দেশে। ১৯৮২-তে ইসরাইল
যখন লেবানন আক্রমণ করে তখন তিনি বৈরুতেই ছিলেন। এত ধ্বংস, এত মৃত্যু, এত
দীর্ঘতর নির্বাসন, তবু কোনোদিন ভুলেও কলম থামান নি আরবি সাহিত্যে আধুনিকতার
এই পুরোধা কবি। বরং ইস্পাতে শান দেবার মতো করে নিজের স্বাধীনতাকামী
বক্তব্য আরো স্পষ্ট ও সহজবোধ্য করে হাজির করেছেন বিশ্ব দরবারে। বলেছেন :
হে অখণ্ড সুকঠিন ক্রোধ! নিত্য করমর্দন চাল-চুলোহীনতা। ক্রোধ আমার হাত। ক্রোধ আমার মুখ!
প্রথম দিকে তার কবিতা ছিল গতানুগতিক। প্রথম কবিতাগ্রন্থ ডানাহীন চড়ুই-এ
তাই যে দারবিশকে দেখা যায় তিনি ছিলেন পূর্বসূরিদের ছায়া, মৃদু রাজনৈতিক
বক্তব্যকে অনুচ্চ রাখার প্রয়াসী। সেটা ১৯৬০ সালের ঘটনা। কিন্তু পরবর্তীতে
তিনিই আবার দিনদিন রাজনীতি-সচেতন হয়ে উঠেন। সম্পাদনা করেন আল কারমান, শো’য়ূন ফিলিস্তিনিয়াহ্, আইকারমিল-এর
মতো জনপ্রিয় পত্রিকা। এসব সাহিত্যপত্রিকার কোনো-কোনোটির সার্কুলেশন ছিল
প্রায় পঞ্চাশ হাজার! তার কবিতা হয়ে ওঠে স্পষ্টবাদিতার নিদর্শন;
অগ্নিস্ফুলিঙ্গ।
তোমার রাত্রি—শীতের শেষ রাত্রির পর
জান্তাবাহিনী ব্যাটেলিয়ান মোতায়েন করেছে দূরের পথে
আমার কাঁধে ধ্বসে পড়ছে শ্বেতচন্দ্র
নির্বাক আমি, আমার স্বাধীনতা নির্বাক।
রাতব্যাপী একটি প্রশ্নে বিদ্ধ হতে থাকি :
কে আমি? কী আমার পরিচয়?
—সাদুমের মেঘ
জান্তাবাহিনী ব্যাটেলিয়ান মোতায়েন করেছে দূরের পথে
আমার কাঁধে ধ্বসে পড়ছে শ্বেতচন্দ্র
নির্বাক আমি, আমার স্বাধীনতা নির্বাক।
রাতব্যাপী একটি প্রশ্নে বিদ্ধ হতে থাকি :
কে আমি? কী আমার পরিচয়?
—সাদুমের মেঘ
ফিলিস্তিনের অবিসংবাদিত নেতা ইয়াসির
আরাফাত যখন সশস্ত্র উপায়ে ইসরাইলি দখলদারি ঘোচানোর চেষ্টা করছিলেন, তখন
সাংস্কৃতিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক সংগ্রামের দায়িত্ব নিজ কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন
দারবিশ। কিন্তু ১৯৯২ অসলো চুক্তি করে ইয়াসির আরাফাত যখন ইসরাইলের রাষ্ট্রীয়
অস্তিত্ব স্বীকার করে নেন, তখন এই মাহমুদ দারবিশ-ই বেঁকে বসেছিলেন
সর্বাগ্রে। পদত্যাগ করেছিলেন ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ পিএলও-র নির্বাহী কমিটি
থেকে। আসলে দারবিশ মানেই মুক্তিপাগল প্রাণ, লাইলাক ফুলের ঘ্রাণ, যে ফুলের
ঘ্রাণ সবার কাছে গ্রহণযোগ্য। তার কবিতা এতই জনপ্রিয় ছিল যে ইসরাইলের
পাঠ্যক্রমে তার কবিতা অন্তর্ভুক্ত করা না-করা নিয়ে দীর্ঘদিন বিতর্ক হয়েছে
দেশটির পার্লামেন্ট নেসেট-এ। এমনকি, শত্রু-দারবিশের কবিতা অন্তর্ভুক্তির
দাবিতে ২০০০ সালে ইসরাইলের ডানপন্থি সাংসদরা ‘এমকে’ জোট থেকে পদত্যাগের
হুমকিও দিয়েছিল। অবশেষে সেই দাবি মেনে নিয়েছিলেন ইসরাইলের তৎকালীন
শিক্ষামন্ত্রী ইয়োসি সরিদ।
এমনই প্রবল প্রতাপ তার লেখনীর। দীর্ঘ সাড়ে
তিন যুগেরও বেশি কাল ধরে যিনি নিরর্থকতার ভার কমাতে চেয়েছেন এতটুকু আলোর
উপলক্ষ দিয়ে। তার এই দীর্ঘ কাব্যযাত্রা বহুবর্ণিল। সেই যাত্রাপথকে মোটা
দাগে কয়েকটি কালখণ্ডে বিভক্ত করা চলে। এক-একটি পর্যায়ে একেক রকম কবিতা
লিখেছেন দারবিশ। তবে ১৯৬৪ সালে জলপাই পাতা কাব্যগ্রন্থ থেকে তার স্বীয় কাব্য-আলোয় চমকিত হতে থাকে ফিলিস্তিনিরা। তারপর ৬৬ থেকে ৭০ পর্যন্ত লিখেছেন আরো ৪টি কাব্যগ্রন্থ। ফিলিস্তিনি প্রেমিক, শেষরাত্রি, অহংকারী চড়ুইয়ের মৃত্যু এবং ভাঙলো প্রিয়ার ঘুম
শিরোনামের এই চারটি কাব্যগ্রন্থে বিধৃত কবিতাগুলোতে ইসরাইলি দখলদারত্ব ও
ফিলিস্তিনিদের অবর্ণনীয় কষ্ট ও এক অনিশ্চিত উদ্বাস্তু জীবনের কথা বলা
হয়েছে।
‘উল্লেখ, আমি একজন আরব
নামগোত্রহীন, একটি সহিষ্ণু দেশে
আমার প্রিয় খাদ্য
জলপাই তেল সুগন্ধি লতাপাতা
এবং আমার ঠিকানা—একটি বিচ্ছিন্ন মুরুভূমির গ্রাম
যেখানে কোনো রাস্তার নাম নেই
মানুষগুলো কাজ করে মাঠে ও পাথরখাদে
তারা পছন্দ করে সামাজিকতা
তুমি কি ক্রুদ্ধ হবে?’
—পরিচয়পত্র
নামগোত্রহীন, একটি সহিষ্ণু দেশে
আমার প্রিয় খাদ্য
জলপাই তেল সুগন্ধি লতাপাতা
এবং আমার ঠিকানা—একটি বিচ্ছিন্ন মুরুভূমির গ্রাম
যেখানে কোনো রাস্তার নাম নেই
মানুষগুলো কাজ করে মাঠে ও পাথরখাদে
তারা পছন্দ করে সামাজিকতা
তুমি কি ক্রুদ্ধ হবে?’
—পরিচয়পত্র
উনিশ শ’র সাতের দশকে দেশ থেকে নির্বাসিত
হলে তার কবিতাও বদলে যায়। এই কালখণ্ডের কবিতাগুলোতে স্বদেশ আর প্রিয়তমা
একাকার হয়ে যায়। কবিতা হয়ে ওঠে আরো বেশি প্রাঞ্জল। এই সময় টানাগদ্যের
কবিতাসহ নানা ধরনের কবিতা লিখেছেন দারবিশ।
তারা হামলে
পড়ে আমার ওপর। বিদ্রোহ করে তোমার আদর্শের। বুঝতে পারি না কী অন্যায় আমার!
প্রজাপতি আমার কাঁধে চড়ে বসে, আমাকে দেখে ঝুঁকে পড়ে ফসলের শিষ, উড়ন্ত পাখি
নেমে আসে আমার হাতের চেটোয়, এ-ই কি আমার অপরাধ? তোমার আদরের নাম যোসেফ। অথচ
তারা আমায় নিক্ষেপ করে কূপে। বাঘকে দায়ী করে তারা। অথচ বাঘ তাদের চেয়ে ঢের
দয়ালু।
আমি কি কারো প্রতি কোনো অপরাধ করেছি, যখন বলি : ‘একাদশ তারকা, চাঁদ ও সূর্য আমায় সেজদা করেছে স্বপ্নে’।
—যোসেফের অভিযোগ
আসলে, দারবিশকে কোনো ছাঁচেই ফেলা যায় না।
আরবি কবিতার প্রথাগত বাকভঙ্গি, চিত্রকল্প, উপমার রীতিটাকে সমূলে পাল্টে
দিয়েছেন দারবিশ। ইহুদিবাদী মিডিয়ার প্রচারণায় ফিলিস্তিনের মুক্তিসংগ্রামকে
যখন ধর্মীয় মৌলবাদ হিসেবে চিহ্নিত করার অপচেষ্টা চলছে, তখন দারবিশের কবিতা
স্বাধীনচেতা ও আধুনিকতার প্রতীক হয়ে ওঠে। কবিতাকে ধর্মীয় প্রবচনে পর্যবসিত
হতে দেন নি দারবিশ। বরং তার কবিতায় দেখা যায় ‘আম-জনতাকে’—যারা কিনা
স্বদেশ-বিচ্ছেদে কাতর, পাশের কিংবা দূরের কোনো দেশে শীতের কিংবা কষ্টের
রাতে মদের নেশায় নিমজ্জিত, তবু তাদের মন অস্থির প্রেয়সীর উষ্ণ আলিঙ্গনের
অপেক্ষায়। এই প্রেয়সী আর কেউ নয়, তার প্রিয় স্বদেশ; ফিলিস্তিন। এরকম অসংখ্য
নারী ও মিথের ব্যবহার করেছেন দারবিশ তার পুরো সাহিত্যজীবনে। তবে শেষ দিকে
ফিরে গিয়েছিলেন কাব্যনাট্যধর্মী দীর্ঘ কবিতায়। তবে তার ভাষা ও প্রকার
বৈশিষ্ট্য ছিল আরো বিষয়ী। জীবন্ত ও কঠিন রূপকল্প ও দার্শনিকতার ভার মুক্ত
করে তিনি তার কবিতাকে পৌঁছে দেন আরো বেশি মননশীলতা ও গণমানুষের
দ্বারপ্রান্তে।
দেখা হলো অন্তিম বিদায়ে : কাষ্ঠখণ্ডে হব গচ্ছিত
উড্ডীন হব হাতে হাতে গণমানুষের, নারীর চোখে
ভেসে উঠব ছবি হয়ে। পতাকায় ঢেকে যাবে সব।
—অন্তিম বিদায়
উড্ডীন হব হাতে হাতে গণমানুষের, নারীর চোখে
ভেসে উঠব ছবি হয়ে। পতাকায় ঢেকে যাবে সব।
—অন্তিম বিদায়
মূলত সত্তরের দশক থেকেই কবি হিসেবে
বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করতে থাকেন দারবিশ। বিভিন্ন ভাষায় অনূদিত হতে থাকে
তার কবিতা। পাশাপাশি একটু-আধটু করে লিখতে থাকেন স্মৃতিকথা, প্রবন্ধ আর
আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস। আর আশি-নব্বইয়ে এসে দারবিশ আর ফিলিস্তিনি কবিতা
সমার্থক হয়ে ওঠে। দুবার বিয়ে করেও সন্তানের মুখ দেখতে পারেন নি দারবিশ। এ
যেন তার কাছে ফিলিস্তিনের অনাগত ভবিষ্যতের ঘনঘোর অন্ধকারময়তা। যদিও মুখে
বলেছেন, বিবাহিত জীবন নিয়ে কোনো খেদ নেই। তবু যখন বলেন, আমি জন্মাতে চাই
হাজার গানের প্রেরণায়/ সাগর ও ছাইয়ের মাঝখানে। পাই নি আমি/ সেই মা, যে জন্ম
দিতে সক্ষম।—তখন কবিতা, সংসার আর দেশহীন-দেশ একাকার হয়ে যায়। তেমনি
দু’দুবার সাক্ষাৎ মৃত্যুর দুয়ার থেকে ফিরে এসেছিলেন তিনি। ১৯৮৪ সালে প্রথম
দফা কোমা থেকে ফিরে এসে বলেছিলেন :
আসলে ঐ সময় আমি স্ফটিক আলোর একখণ্ড শাদা মেঘের ওপর গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন ছিলাম।
ভিয়েনার হাসপাতালে কর্তব্যরত ডাক্তাদের
ভাষ্যমতে, প্রায় মিনিট দুয়েক তো মৃতই ছিলেন তিনি। মানে, ক্লিনিকালি ডেথ।
একইভাবে ১৯৮৮-তেও মৃত্যুকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে জীবনের বন্দরে নোঙর করেছিলেন
দুরাশার সাথে নিরন্তর যুদ্ধ করা এই মানুষটি। কিন্তু তারপরেও মৃত্যুই হয়তো
শেষ কথা। জলপাই বন, মোটা-বালির উদ্যান, ফেনিল সাগর—সমস্ত ভ্রমণ শেষে
মৃত্যুই হয়তো অমোঘ সত্য। তাই তো ৯ অগাস্ট ২০০৮, চিরতরে চলে গেলেন ঘুমপ্রিয়
এই মানুষটি। তবে তাঁর কবিতা জেগে আছে। আরবের কণ্ঠস্বর হয়ে জেগে থাকবে আরো
বহু শতাব্দী। থাকবেন দারবিশ, যিনি বলেছিলেন—
যদি পরিণাম হয় ছাইভস্ম, আমার কিংবা শত্রুর
যদি ভূপাতিত হই, তবু হাতে থাকবে উদ্বেলিত পতাকা
সমাধির পরে লেখা হবে—
‘অ-ম-র’
যদি ভূপাতিত হই, তবু হাতে থাকবে উদ্বেলিত পতাকা
সমাধির পরে লেখা হবে—
‘অ-ম-র’
No comments:
Post a Comment